ক্রীড়া ডেস্ক: অন্য দুই ফরম্যাটের চেয়ে টি-টোয়েন্টিতেই যেন বেশি ভাল খেলে পাকিস্তান। তাই তো আইসিসি র্যাংকিংয়ে টেস্ট-ওয়ানডেতে নিচের দিকে হলেও, টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময় ধরেই শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে ২০০৯ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাত্তাই পায়নি সরফরাজ আহমেদের দল। সফরকারীদের দলে ছিলো নিয়মিত প্রায় ১০ জন ক্রিকেটার। তবু নতুন মুখদের নিয়েই পাকিস্তানকে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেছে শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল পাকিস্তান। সেই প্রতিশোধই হয়তো কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে নিল লঙ্কানরা। আগে ব্যাট করে দানুশকা গুনাথিলাকার ফিফটিতে ভর করে তারা দাঁড় করিয়েছিল ১৬৫ রানের সংগ্রহ। হ্যাটট্রিক করেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন। জবাবে ইসুরু উদানা ও নুয়ান প্রদীপের বোলিং তোপে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১০১ রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে হাসনাইন হ্যাটট্রিক করলেও বোলিংয়ে খুব বিশেষ কিছু করে লঙ্কান ব্যাটিংয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি তিনি। তবে একপর্যায়ে ১৮০ রানের দিকে ছুটতে থাকা স্কোরটাকে ১৬৫ রানে বেঁধে রাখার কৃতিত্ব ১৯ বছর বয়সী এ পেসারেরই।
বিশ্বের নবম এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে করা হ্যাটট্রিকটি হয়েছে দুই ওভারে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ভানুকা রাজাপাকসেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হাসনাইন। ১৯তম ওভারে আবারও তার হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
এবার প্রথম দুই বলে শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকা আর শেহান জয়সুরিয়াকে সাজঘরের পথ দেখান হাসনাইন। শানাকা হন উমর আকমলের ক্যাচ, জয়সুরিয়া ক্যাচ দেন আহমেদ শেহজাদকে। হয়ে যায় সবচেয়ে কম বয়সে টি-টোয়েন্টিত হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।
তবে ততক্ষণে প্রায় জেতার মতো পুঁজি জমা হয়ে যায় লঙ্কান স্কোরবোর্ডে। শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা খেলেন ম্যাচের সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস, ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে সাজান নিজের ইনিংস। এছাড়া আভিশকা ফার্নান্দো ৩৩ ও ভানুকা রাজাপাকশে করেন ৩২ রান।
পরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ইফতিখার আহমেদ। এছাড়া সরফরাজ আহমেদ ২৪ ও বাবর আজম ১৩ ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় তারা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ইসুরু উদানা ও নুয়ান প্রদীপ। এছাড়া ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ২ ও কাসুন রাজিথার ঝুলিতে গেছে ১টি উইকেট।