নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে হত্যা ও হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে ১০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ফাহাদের দ্বিতীয় বর্ষের সহপাঠী, ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত কথিত ‘বড় ভাই’ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা।
সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযানে মোট ১০ জনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
ডিএমপির জানায়, গ্রেফতাররা হলেন- বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. অনিক সরকার (২২), বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতি মোশাররফ সকাল (২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান রবিন (২২), নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন (২২)।
এ ছাড়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি (২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির (২১), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্নাকে (২১)গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা বুয়েট ছাত্রলীগ ও শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের সদস্য হলেও ডিএমপি কারও রাজনৈতিক পরিচয় জানায়নি।
উল্লেখ্য রোববার দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এই ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ডিএমপি জানায়, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নিহত আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়।