জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: আলজেরিয়া পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট স্লিমানে চেনাইন বলেছেন, বাংলাদেশ ও আলজেরিয়া মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে দু-দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে পারে। ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দুই দেশ আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। রোববার বিকেলে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ১৪১তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ভেন্যু সাভা সেন্টারে তারা সাক্ষাৎ করেন।
তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, সংসদীয় চর্চা, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নিয়ে আলোচনা করেন।
স্লিমানে চেনাইন বলেন, আইপিইউ সম্মেলন এমন এক মিলনমেলা, যেখানে বিশ্বের সব দেশ মত-বিনিময়ের সুযোগ পায়। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ — জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। সংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে ওআইসিভুক্ত দেশগুলো শান্তি আনয়নে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই আলজেরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজও স্মরণীয় হয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক নেতৃত্বে সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে ৫০টি সংসদীয় কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আলজেরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আলজেরিয়া পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর -ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, মো. হাবিবে মিল্লাত, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আবদুস সালাম মূর্শেদী, পীর ফজলুর রহমান, সুবর্ণা মুস্তাফা, শবনম জাহান, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার উপস্থিত ছিলেন।