সিটিজেন ডেস্ক: ভোলায় সংঘর্ষের ঘটনায় ফেসবুক আইডি শনাক্ত করতে সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত চলছে, দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তখন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোলায় এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর নামে কটূক্তির ঘটনায় কে আসল অপরাধী তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনা ভোলার যে ছেলের ফেসবুক চ্যাটিং থেকে হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ছেলে জানিয়েছেন কয়েক দিন আগে তার ফেসবুক হ্যাকড হয়। হ্যাকড করা ব্যক্তি তার কাছে এজন্য টাকা দাবি করে। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের কথোপকথন থেকে অর্থ দাবি করা ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছি। এখন তাদের মধ্যে কথোপকথনের তথ্য-উপাত্ত অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সিঙ্গাপুর অফিসে পাঠিয়েছি। তাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি। এই ঘটনায় ফেসবুকে কার আইডি, কে হ্যাকড করেছে, কোথা থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে তা খতিয়ে বের করা হবে। সেই অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত আমি সবার প্রতি অনুরোধ করবো একটু অপেক্ষা করতে। সবার প্রতি আমাদের আবেদন, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় কেউ কেউ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া গ্রামের বিপ্লব নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টের প্রতিবাদে রোববার স্থানীয় আলেম সমাজ ও লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষে মাহাফুজ, মিজান, শাহীন ও মাহবুব নামে চারজন নিহত হন। আহত হন সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। এছাড়া আইডির মালিক ও ওই আইডি হ্যাকের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আসিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।