নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন কিছুসংখ্যক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার বিরুদ্ধে রাজউক ও ব্যক্তি মালিকানা প্লোট এ মার্কেট বানানো দখলবাজি ফুটপাত ও পরিবহনের চাঁদাবাজিসহ জুয়া ক্যাসিনো থেকে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে মর্মে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘৃণা প্রসার চালাচ্ছে।
পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে। ১০কোটি টাকা ব্যয় খন্দকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিষয়টি একেবারেই কল্পনিক। প্রকৃতপক্ষে খন্দকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক ঢালু খন্দকার ছিলেন এবং এখনো আছেন। প্রতিবেদনসমূহে উত্তরা ১২তলা খান টাওয়ার ২০ বছর পূর্বে রাজউকের থেকে প্রাপ্ত প্লটটি পারিবারিক সম্পত্তি এবং ব্যাংক লোন নির্মিত খান টাওয়ার যা গত ১০ বছরে অর্জিত নন। আশুলিয়া ১০ বিঘা জমির মালিকানা বিষয়টি একেবারেই আষাঢ়ের গল্প। সেখানে এত শতক জমি মালিক আমি বা আমার পরিবারের কেউ নই। সামনে নির্বাচন রেখে আমাকে বিশাল একটি চক্র মহল বিভিন্ন রকম সংবাদ পএে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ও আমার এলাকাবাসী এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন বলেন, ‘উত্তরায় ৩টি ক্যাসিনো পরিচালনা, পরিবহনে চাঁদাবাজি, রাজউকের জমি দখল, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার আওয়ামী পরিবার। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে আজ আমি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। আমার কিছু প্রতিপক্ষ আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান।
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান বলেন, আমি যদি দখলদার, চাঁদাবাজ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতাম, তাহলে এই এলাকার জনগণ আমাকে কেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত করলো?
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সরকারের বিভিন্ন রকম উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও সকলের চোখে ধূলো দিয়ে কিভাবে প্রকাশ্যে আমি একটি নিজস্ব বাহিনী গঠন করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছি সেটাও আমার প্রশ্ন।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের পর দলের দুঃসময়ে আমি আমার দলের জেন দায়িত্ব পালন করি এবং ২০১১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
“উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ব্যতিত শুধুমাত্র অনুমানের ভিক্তিতে সংবাদ প্রকাশ করার ফলে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত, পাশাপাশি ব্যথিত এবং মর্মাহত। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে মানুষের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে” ।
শুদ্ধি অভিযান কে কেন্দ্র করে সরব হয়ে উঠেছে ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি হাইব্রিড বলে পরিচিত নেতারা।