নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী অষ্টম রেডিও এশিয়া কনফারেন্স এবং রেডিও সং ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (এবিইউ) আয়োজিত এ কনফারেন্স ও ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (ডিজি) নারায়ন চন্দ্র শীল, এবিইউ সচিব ড. জাভেদ মুক্তাগহী প্রমুখ। এবারের এবিসি রেডিও রাশিয়া সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘রেডিও অল অ্যারাউন্ড আস : মোর দেন জাস্ট অ্যা মিডিয়াম’।
আয়োজকরা জানান, রেডিওর অর্গানগুলোকে তুলে ধরে আগামীর সম্ভাবনার দিকে আলোকপাত করা হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, মিশর রোমানিয়া, ভিয়েতনাম, তুর্কমেনিস্তান, জাপান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ ২২টি দেশের ২১২ জন রেডিও এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিনিধি রয়েছেন ৬২ জন।
আয়োজকরা আশা করছেন, নতুন সহস্রাব্দের তৃতীয় দশকের দ্বারপ্রান্তে এসে রেডিও গণমাধ্যমকে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রেডিও সম্মেলন সেগুলো থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে আলোচনার সুযোগ হবে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য ৭৬ দেশের ২৭০টি ব্রডকাস্টিং সংস্থা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলসহ সারা বিশ্বের সম্প্রচার মাধ্যমের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে রেডিও মাধ্যমের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ বেতারেরও গৌরবজ্জল ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বেতারের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। বর্তমানে বেতার জাতীয়, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার খবরসহ নানা ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। এছাড়া সামাজিক উন্নয়নেও বেতার ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বেতার শিল্প সামনে আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।