জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নেতারা অনেক সময় নির্দেশ দিতে পারেন না। তাই বলে কর্মীদের বসে থাকলে চলবে না। ৭১ সালেও নেতারা নির্দেশ দিতে পারেননি। তখন অখ্যাত একজন মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কেউ প্রশ্ন করেনি, তুমি কে হে ঘোষণা দেয়ার? সবাই ঘোষণার সাথে সাথে যুদ্ধে নেমেছিল। সুতরাং আর প্রেসক্লাবে নয়, যা হবার রাস্তায় হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে তারেক পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আর প্রেসক্লাবে আলোচনা করার সুযোগ নেই জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের এখন সময় হয়েছে রাস্তায় নামার। আদালতের মাধ্যমে নেত্রীর মুক্তি হবে না। এটা বুঝে গেছি। সুতরাং আপনাদের যদি প্রাণের দাবি তীব্র হয় খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, তাহলে আপনারা প্রস্তুত হন। নেতা ডাকলো কী ডাকলো না সেটা দেখার দরকার নেই। আমার অধিকার আছে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পথে নামার।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের নেতৃবৃন্দ কিংবা দল নিশ্চয়ই বিষয়টা বিবেচনায় রাখবেন। বিষয়টা আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার নয়, এখনই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়। দল ভুল করবে বলে আমি মনে করি না। আপনারা প্রস্তুত থাকেন।
তারেক পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাহেদুল ইসলাম লরেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.)মো. হানিফ, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।