বিশেষ প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে গাছচাপায়। একজন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুলবুলের তাণ্ডবে সারাদেশে মোট ১২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। আরেকজনের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তার মৃত্যু গাছচাপায় হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাছচাপায় নিহতরা হলেন- উজিরপুর বরিশালের বাসিন্দা আশালতা মজুমদার (৬৫), পটুয়াখালীর ১ নম্বর মাধবখালী ইউনিয়ন মির্জাগঞ্জের হামিদ কাজি (৬৫), পিরোজপুরের নাজিরপুর মালিখালি গ্রামের ননী মন্ডল (৫৫), খুলনার দীঘলিয়া সেনহাটির আলমগীর (৪০), খুলনার দাকোপের প্রমিলা মণ্ডল (৫২), বাগেরহাটের ফকিরহাটের চাকুলী বেতাগা গ্রামের হিরা বেগম (২৫), বাগেরহাট রামপালের উজলপুরের সামিয়া (১৫), শরিয়তপুর নড়িয়ার দেয়নকুড়ি ডিঙ্গাবাড়ি গ্রামের আলীবক্স চৈয়াল (৭০), শরিয়তপুর ডামুড্যার শীতলপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫০) ও গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বান্ধাবাড়ি গ্রামের হাওলাদার (৭০)।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হালিমা খাতুন (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বরগুনা সদরের ভানাই গ্রামে।
এদিকে রোববার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানান, বুলবুলের আঘাতে গাছ চাপা পড়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। আর উপকূলীয় এলাকায় ৪ থেকে ৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দেশের আট জেলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার ভোররাতে আঘাত হানার পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। জাগো নিউজের প্রতিনিধিরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে লক্ষাধিক। এর মধ্যে শুধু সাতক্ষীরায় বুলবুলের তাণ্ডবে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।