নিজস্ব প্রতিবেদক:‘দুনিয়ার হকার এক হও, লড়াই করো। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করো’ শ্লোগানে শত শত হকার বিক্ষোভ করেছে রাজধানী রাজপথে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গুলিস্তান ফ্লাইওভারের কাছ থেকে শুরু করে প্রেস ক্লাবের সামেন এসে শেষ হয় হকারদের মিছিল। এরপর তারা সংক্ষিপ্ত পথসভা করে মিছিল সমাপ্ত করে।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা হয়। মামলায় হর্কাস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম কবীর ও সাধার সম্পাদক সেকান্দার হায়াৎসহ ২৫-২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হকার ইউনিয়নের নেতাদের দাবি এসব মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে আব্দুল হাসেম কবীর জাগো নিউজকে বলেন, ফুটপাতে বসতে না দেয়ায় আমরা মিছিল করেছি। তাই পুলিশ মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় এক সংসদ সদস্য হকারদের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনেন। তখন ওনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন হকাররা অফিসের পরে বসতে চাইলে বসুক। সেই হিসেবে আমরা অফিস সময়ের পর পরই বসি।
কিন্তু ক্যাসিনো কাণ্ডের পর পরই পুলিশ হঠাৎ হকারদের উচ্ছেদ করে দিতে শুরু করে। প্রতিবাদের আমরা গুলিস্তান থেকে পল্টন পর্যন্ত মিছিল করেছিলাম। এর পর মামলা করে পুলিশ। এর আগেও আমাদের বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা করেছে সিটি কর্পোরেশন।
ওইসব মামলা বাতিল এবং হকারদের ব্যবসার সুযোগ দিতে আজ গুলিস্তানের ফ্লাইওভার এলাকার বঙ্গবন্ধু, বাইতুল মোকাররম উত্তর গেট হয়ে মুক্তাঙ্গন পেরিয়ে প্রেস ক্লাব পরর্যন্ত মিছিল করি।
জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকার ফুটপাত দখল করে বসা হকারদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ দুই মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে ৪৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়। তিন মামলায় মোট ৭২ জনকে আসামি করা হয়। তবে হকারদের অভিযোগ, উচ্ছেদ বন্ধের আন্দোলন বানচাল করতে গণহারে মামলা করেছে সিটি কর্পোরেশন।
হকার নেতারা বলেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ চলবে না। হকার ব্যবস্থাপনার জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।