সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : স্পিকার

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২০৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, উদ্বাস্তু প্রভৃতি সমস্যা সমাধানে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী । এগুলো কোনো ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। এসব সমস্যা এখন সবার।

আজ মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক সামিট-২০১৯ এর ‘অ্যাড্রেসিং দ্য ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জেস অব আওয়ার টাইম : পিস, রিকনসিলিয়েশন, ইন্টারডিপেনডেন্স, মিউচুয়াল প্রসপারিটি অ্যান্ড ইউনিভার্সাল ভ্যালু’ শীর্ষক উদ্বোধনী সেশনের মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন স্পিকার। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কিংডম অব কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক আকিক মহা সেনা পাদে টেকো হুন সেন।

শিরীন শারমিন বলেন, অসমতা, বৈষম্য, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের মতো জটিল বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়েই গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে। এক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। তাছাড়া নারীদেরকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

তিনি বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক সামিট এই অঞ্চলের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার প্রচেষ্টায় আইন শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।

স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়ন বিস্ময়। বিগত এক দশকে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে, দেশের ৯৫ ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে, পাঁচ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, ১০০টি বিশেষায়িত ইকোনমিক জোন এবং ধারাবাহিকভাবে জিডিপি ৮শতাংশ অর্জিত হচ্ছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অসমতা দূর করে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিকে প্রাধান্য দেয় বলেই জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ অবদান রাখছে। সে কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ হেনরি ভেন থিও, ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশনের কো-ফাউন্ডার হাক জা হান মুন, রিপাবলিক অব পালাউয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রেনল্ড ওইলচ এবং ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জাসুফ কালা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com