অনলাইন ডেস্ক: মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন তিনি। তবে দান করা অঙ্গ মানুষের কাজে লাগেনি। ধুমপান করায় তার ফুসফুসের এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছিল যে তা আর অন্য কারো শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এমনই এক ধূমপায়ী ব্যক্তির ফুসফুসের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটি প্রকাশ করেছে ইউকসি পিপলস হাসপাতাল। ভিডিওতে দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন। তবে ৩০ বছর ধরে ধূমপান করার কারণে তার ফুসফুস একেবারে কালো হয়ে গেছে। ফলে তার ফুসফুস শেষপর্যন্ত কোনো কাজেই লাগেনি।
ইউকসি পিপলস হাসপাতালের চিকিৎসক চেন জিয়াংগু এবং তাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী দল ফুসফুসটি নিয়ে গবেষণা করছেন। ব্রিটিশ দৈনিক মিররের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী চিকিৎসক চেন জিয়াংগু জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি এই ফুসফুস দান করেছেন তার মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি বলেন, ফুসফুসের ভয়ঙ্কর এই অবস্থা দেখার পর অন্য কোনও রোগীর শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা যায়নি। যদি কোনো রোগীর শরীরে এই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয় তাহলে তিনি লাং ক্যালসিফিকেশন, বুলোস লাং ডিজিস এবং পালমোনারি এমফাইসেমার মতো ফুসফুসের নানা রোগ আক্রান্ত হতে পারেন।
চেন জিয়াংগু আরও বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে যে চিকিৎসক দল এই ফুসফুসটি নিয়ে গবেষণা করেছে তারা এটি অন্য কারো শরীরে প্রতিস্থাপন করতে রাজি হননি। যদি কোনও ব্যক্তির খুব বেশি পরিমাণে ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলোব কখনোই আপনি আপনার শরীরের কোনো অঙ্গা অন্যকে দান করবেন না।’
মরণোত্তর দেহদান করা ওই ব্যক্তির শরীর কিংবা ফুসফুস কোনোটাই ভালোভাবে পরীক্ষা করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। কারণ তা করার আগেই তার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অবশ্য তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে অক্সিজেন ইন্ডেক্সের পরে যখন ফুসফুসগুলো আমি দেখি তখন মনে হয়েছিল তা ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) করা যাবে।’