নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ার মামলায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এ আসামি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনায় জড়িত অপরাপর পলাতক আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য এবং ঘটনার ইন্দনদাতা ও মদদ দাতাদের সনাক্ত করার জন্য আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সমাবেশ করে। পরে হাইকোর্টের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ওই সড়কের যানচলাচল ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি না করার অনুরোধ করলে তারা সরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই মতিউর রহমান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।