ক্রীড়া প্রতিবেদক: ময়দানি লড়াই শুরু হয়েছে চারদিন আগেই। আগামীকাল (রোববার) আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের তেরতম আসরের। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়ামে ১০ দিনব্যাপী গেমসের উদ্বোধন করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্দারি।
এসএ গেমস অনেকের চোখে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’। কারণ, এ অঞ্চলের ক্রীড়াবিদদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার আসর এই গেমস। দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াবিদদের শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ এই গেমস।
আয়োজক নেপাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে যতটা সম্ভব জমকালো করার ঘোষণা দিয়েছে। ২৬ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২৫ টিতে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না ট্রায়াথলনে। বাংলাদেশের ৪৬২ জন পুরুষ ও ১৯৯ জন নারী ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছেন।
এসএ গেমস যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৮৪ সালে নেপালের কাঠমান্ডু থেকেই। এবারের আসরটি বসবে হিমালয়ের দেশটির দুটি শহর কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরে। এ নিয়ে নেপাল তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
গেমস শুরুর পর থেকেই একচেটিয়া প্রাধান্য ভারতের। আগের ১২ আসরে ভারত ১০৮৮ টি স্বর্ণ পদক জিতেছে। বাংলাদেশের স্বর্ণ পদক ৬৭ টি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ১৮ টি স্বর্ণ পদক জিতেছে ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাদশ এসএ গেমসে। দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি ৭ স্বর্ণ এসেছিল ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ এসএ গেমসে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভারতের শিলং ও গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত গেমসে বাংলাদেশ স্বর্ণ জিতেছিল চারটি। এর মধ্যে দুটি সাঁতাড়ু মাহফুজা খাতুন শিলা এবং একটি করে ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শ্যুটার শাকিল আহমেদের। এবার শিলা অংশ নিচ্ছেন না। তবে তার হাতেই আগামীকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মার্চপাস্টে জাতীয় পতাকা থাকবে।
গেমসের ডিসিপ্লিনগুলো হচ্ছে-আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি, কারাতে, খো খো, শ্যুটিং, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানদো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশু।