বিশেষ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বনায়ন, জীব-বৈচিত্র্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাউন্টেন্স ম্যাটার ফর ইয়ুথ’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শেখ হাসিনা বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেছি। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ এলাকার জনগণ সমঅংশীদার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় ২২ শতাংশই পার্বত্য অঞ্চল। এ অঞ্চলে পৃথিবীর প্রায় এক দশমাংশ মানুষের বাস এবং ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণি এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসেন। তাদের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে গ্রহণ করেন নানামুখী কর্মসূচি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের সম-সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।’
আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
বাণীতে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।