আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৪৭ বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার সম্পর্কের যবনিকা টানছে যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ২৮ দেশের জোটটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এ প্রক্রিয়া (ব্রেক্সিট) সম্পন্ন হবে।
ব্রেক্সিট শুরুর এক ঘন্টা আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার লিখিত ভাষণে বলবেন, ‘ব্রেক্সিট সমাপ্তি নয়, বরং শুরু।’
ইইউ’র বাকী ২৭ দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন সম্পর্ককে ‘সত্যিকারের জাতীয় পুনর্জাগরণ ও পরিবর্তনের মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দেবেন তিনি তার ভাষণে।
অবশ্য যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেলেও ইইউর আইন আরো কিছুদিন কার্যকর থাকবে-যার মধ্যে রয়েছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত জোটের দেশগুলির নাগরিকদের অবাধ চলাচল। সেই সুবাধে পুরোপুরি বেক্সিট হতে বা ইইউ থেকে নিজেদের অর্থনীতি পৃথক রাখতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে জনসন সরকারকে।
ব্রেক্সিটের পরোক্ষ সমালোচক লেবার নেতা জেরেমি করবিন দেশকে অন্তর্মুখী না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বরং তিনি ‘সত্যিকারের আন্তর্জাতিকিকরণ, বহুর্মুখী ও বৈচিত্রময় দেশ’ হিসেবে যুক্তরাজ্যকে গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনীতিবিদরা যাই বলুক না কেন, সাধারণ মানুষের অবশ্য ব্রেক্সিট নিয়ে ততোটা মাথাব্যথা নেই। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের পর রাজনৈতিক দল ও ইইউর সঙ্গে মতবিরোধ এবং এর জের ধরে পরপর দুবার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকেই বিরক্ত।
লন্ডনের বাসিন্দা জুডিথ মিলার বলেছেন, ‘আমি এর জন্য ভোট দেইনি এবং আমি চাই না এটা হোক। তবে আমি এখন এর অবসান চাই। আমি ক্লান্ত, যথেষ্ট হয়েছে। এসব খবরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি এবং আমরা স্রেফ এটি মোকাবেলা করতে যাচ্ছি।’