নিজস্ব প্রতিবেদক: রাসায়নিক পরীক্ষায় বাংলাদেশেই সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর ক্যামিকেল মেজারমেন্টস, বাংলাদেশ আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা করার জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। যদিও ২০১২ সালের ১০ জুন এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটিকে একটি লেজিসলেটিভ বডি হিসেবে নিয়ে আসার জন্য এই আইন করা হচ্ছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান উন্নয়নের জন্য দেশের একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এই ইনস্টিটিউটকে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা করা হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘কিছু দিন আগে দুধে রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে মাদ্রাজ থেকে দুধ পরীক্ষা করিয়ে আনা হয়। এই ইনস্টিটিউট হলে আইএসও স্টান্ডার্ডে রাসায়নিক পরীক্ষা করে সনদ দেয়া সম্ভব হবে।’
এ ইনস্টিটিউট প্রধানের পদ মহাপরিচালক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে ইনস্টিটিউটটি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে থাকলেও নতুন আইন পাস হলে এটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংবিধিবদ্ধ ইনস্টিটিউট করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বিএসটিআই-এর সঙ্গে এই ইনস্টিটিউট সাংঘর্ষিক হবে না। বিএসটিআই-ও এটাকে অনুমোদন দিয়েছে। কারণ তারা গুডস পরীক্ষা করে। এখানে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে এবং আইএসও মানের হবে। এছাড়া যেসব দেশে এই সুবিধা নেই তারাও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আমাদের এখানে পাঠাতে পারবে। এখন আমরা অনেক কিছু পরীক্ষা করাতে বিভিন্ন দেশে পাঠাই।’