শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

নগরবাড়ীতে আধুনিক নৌ বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২০৪ বার পঠিত

পাবনা প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নৌপথে পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রবেশদ্বার পাবনার নগরবাড়ীতে আধুনিক নৌ বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

গতকাল বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম পর্যায়ে তিনটি প্যাকেজে আরসিসি (পাকা) জেটি, নদী তীর রক্ষায় অবকাঠামো ও বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে এ বন্দর দিয়ে বছরে ৩০ লাখ টন পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে এটির ব্যবহার বাড়বে। এতে সার্বিকভাবে সেতুর ওপর চাপ কমবে।

বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু উপলক্ষে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুই বছরের মধ্যে বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আবারও জেগে ওঠবে নগরবাড়ী বন্দর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হয়েছে বলে এ ঘাট বন্ধ হতে পারে না। মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাবনা থেকে ফেরি চালুর নির্দেশনা ইতিমধ্যে দিয়েছেন। কাজীরহাটে ফেরি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আরও ফেরি রুট চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ১৭ কোটি মানুষের হাতকে দক্ষ হাতে পরিণত করতে কাজ করছে। এর আগে মন্ত্রী পাবনার কাজিরহাট এলাকা পরিদর্শন করেন। পাবনার ডিসি কবির মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের অধীনে জমি অধিগ্রহণে সরকার ও জমির মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। সরকারি অর্থের কোনো অপচয় হতে দেয়া হবে না।

বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সার, সিমেন্ট, বালি, কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য নগরবাড়ী নৌবন্দরে আসে। সেখান থেকে সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন করা হয়। একইভাবে উত্তরাঞ্চলের মালামাল এ বন্দর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। এসব পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে ৫১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হল।

এজন্য ৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ, দুটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামায় মোবাইল হারবার ক্রেন বসানো, পণ্য রাখার গুদাম, শ্রমিকদের বিশ্রামাগার, জাহাজের পাইলটদের জন্য ভবন তৈরিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

প্রকল্পর পরিচালক মাইদুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৩ সালে নগরবাড়ী বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা গড়ে ওঠেনি। এখন আমরা এটিকে আধুনিক বন্দরে পরিণত করতে কাজ করছি। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাবনা ও মানিকগঞ্জের কয়েকজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com