বিশেষ প্রতিবেদক: অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য আপৎকালীন বিশেষ তহবিল গঠনসহ চারটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির পলিটব্যুরো সোমবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির দাবিগুলো হলো- দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৮৫ শতাংশ। এরা তাদের আয়ের অর্থ দিয়ে শুধু নিজেরাই বাঁচে না, গ্রামীণ অর্থনীতিকেও সচল রাখে। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিলের মতো এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য আপৎকালীন বিশেষ তহবিল গঠন এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা তাদের মাঝে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন আমরাও সেভাবেই বলছি, কেউই করনোভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখাতে চায় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এখনও এই ভাইরাসে শনাক্তকরণ পরীক্ষার সংখ্যা কম। আমেরিকা ও ইতালিকে এর খেসারত দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও বহু করনোভাইরাস রোগী শনাক্তকরণ ছাড়াই মৃত্যুবরণ করছে। এদিকে তাদের দাফন নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিএসএমএমইউসহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল সমূহকে করনোভাইরাস শনাক্ত করণের অনুমোদন দেয়া। তারা তাদের ফলাফল আইইডিসিআরকে জানাবে। আইইডিসিআর ফলাফল প্রকাশ করবে যাতে সবকিছু কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকে। একই ভাবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষা কার্যক্রমকে সক্ষম করা। এক্ষেত্রে কথা ও বাস্তবের ফারাক দূর করা।
করনোভাইরাস পরীক্ষা কাজে ইপিডোমিলিজিস্ট ভাইরোলজিস্ট ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের সম্পৃক্ত করা এবং সেভাবে জাতীয় কমিটি পুনর্বিন্যাস করে তা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নেতৃত্বে নিয়ে আসা। রাজনৈতিক দলগুলোই জনমতের প্রতিনিধিত্বকারী। প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে এই জাতীয় সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দল, এমপি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা, বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে বাঁচাতে তাদের মূল দায়িত্ব দেয়া।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয় সবার সম্মিলিত প্রয়াসে করনোভাইরাস সংক্রমণ আর বিস্তৃত হবে না। তবে কোনোভাবেই সতর্কতা বাদ দেয়া যাবে না। এ ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে সবাইকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে।