নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাবিশ্বের প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঘরবন্দি। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষকে ঘরে থাকতে বলছে সরকার। আর এই ঘরে থাকা মানুষদের সেবায় অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের পাশাপাশি ইউপি সচিবরাও কাজ করছে দিনেরাতে। সারা দেশে ৪ হাজার ৫৭১ জন ইউপি সচিব করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মাঠ পর্যায়ের সরকারের সব কাজ বাস্তবায়নে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
এজন্য ইউপি সচিবদের সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) সরকারি প্রণোদনা ও স্বাস্থ্যবিমার অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা এ দুর্যোগকালীন মুহূর্তে দুস্থ অসহায় রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা চালক, পরিবহন শ্রমিক, কর্মহীন দিনমজুর, ফেরিওয়ালা, প্রতিবন্ধী, বেদে, হিজড়া, শ্রমিক, চায়ের দোকানদার ও অন্যান্য উপকার ভোগীদের তালিকা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রস্তুত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রকার দাপ্তরিক কাজ রিপোর্ট/ রিটার্ন পাঠানো, জরুরি ত্রাণ, কার্যক্রম হিসেবে ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর চাল উত্তোলন, গুদামজাতকরণ ও বিতরণ, ইউনিয়ন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হিসেবে প্রবাসীদের তালিকা তৈরি, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করছেন এসব ইউপি সচিবরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন জনগণের দ্বারে দ্বারে সেবা প্রদান করছেন তারা।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির (বাপসা) সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৪৫৭১ জন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা প্রণোদণার অন্তর্ভুক্তি ও স্বাস্থ্যবিমার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করাসহ স্বাস্থ্যবিমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিমা দেওয়াসহ ‘করোনাভাইরাস যোদ্ধা হিসেবে ঘোষিত প্রণোদণার অন্তর্ভুক্ত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।