অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যেই পাঁচ শতাধিক পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে এসব কারখানায় কার্যক্রম শুরু হয়। তবে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলেছে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করা হয়েছে।
বিজিএমএইএ- এর পরিচালক ইনামুল হক খান জানান, সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানাগুলো চালু করা হচ্ছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত ধাপে ধাপে কারখানাগুলো খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
বিজিএমএইএ-এর তথ্য মতে, গতকাল রোববার তাদের সদস্যভুক্ত ৫০২টি পোশাক কারখানা খুলেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১৮টি, সাভার-আশুলিয়ার ১২৯টি, ঢাকার ২৫টি, গাজীপুরের ২৩৮টি ও চট্টগ্রামের ৯২টি কারখানা খোলা হয়। সোমবার নতুন করে আরও ৫ শতাধিক কারখানা চালু হয়েছে। তবে আজ দেশের কোথায় কতটি কারখানা চালু হয়েছে তা জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) মতে, রোববার তাদের ১০ থেকে ১২টি কারখানা খোলা ছিল। এছাড়া, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) শতাধিক কারখানা চালু করা হয়েছে রোববার। তবে তার আগে থেকেই মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনকারী প্রায় শতাধিক কারখানা চালু ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘পোশাকশিল্পের ৮৬৫টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আছে। এ পর্যন্ত তিন বিলিয়ন ডলারের ওপর অর্ডার বাতিল হয়েছে। আমাদের ওপর কারখানা খুলে দেওয়ার চাপ আছে। অনেকের অর্ডার আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে যদি অর্ডার চলে যায় তাহলে তা ফেরত আনা কঠিন হবে। তাই সীমিত আকারে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।’
বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে ধাপে ধাপে পোশাক কারখানা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। এরপর ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পোশাক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে বিজিএমইএ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠায়। একই সিদ্ধান্ত নেয় পোশাক শিল্প মালিকদের অপর সংগঠন বিকেএমইএ। এরপর শ্রম মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু করার জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে।