নিউজ ডেস্ক: একজন পরিচিত চিকিৎসক ফোন করলেন। বললেন, তার পরিচিত একজন গর্ভবতি নারী করোনায় আক্রান্ত। গতরাতে ইউনাইটেড,এভারকেয়ারসহ সকল পাঁচ তারকা হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি হতে পারেনি । সকালে গেছে অন্য হাসপাতালে। চিকিৎসক নিজের অসহায় অবস্থার কথা বলছিলেন বারবার।ইচ্ছা থাকলেও সেই নারীকে নিজের হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেননি।
এই দিকে আরেক ঘনিষ্ট চিকিৎসক লিখেছেন কষ্টের কথা। ডাক্তার খাইরুল ইসলাম লিখেছেন-“ “ঝিনুকে মুক্তা হলে চুপ হয়ে যায়, মুখ খোলে না।
সে যে গভীর জলে যায় গো চলে, কিনার দিয়ে আর চলে না।”
সকালে পিপিই পড়ে রেডি হচ্ছিলাম, কোভিড ফ্লোর ৮ আর ৯ তলায় রাউন্ড দিব!
তখন ৭ তলার এক রোগির লোক ছুটে এল!
গিয়ে দেখি প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে একজনের!
বয়স্ক মানুষ!
শরিরে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে!
দ্রুত উপুড় করে দিতে বললাম যাতে ফুসফুসে বেশি অক্সিজেন ঢুকে!
মহিলা মানুষ পারছেনা!
আমি ধরলাম!
২ মিনিট!
চোখের সামনে হাসফাস করতে করতে চলে গেল!
দরকার ছিল ICU ventilation!
উনাকে সান্ত্বনা কি দিব পাশের রুম থেকে আরেক মহিলা দোড়ে এল!
আমিও ছুটে গেলাম!
সব কিছু শান্ত!
বুঝে গেছি!!
আমি বললাম ” কি হয় আপনার?
” আমার স্বামি!” কি নিরাসক্ত কন্ঠ!
আমি দাড়িয়ে আছি, মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ২ জন মানুষের মৃত্যুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা!
তখন মহিলা বলে, স্যার,আপনাদের কিছু করার ছিলো না তাইনা?
আমি চুপ হয়ে গেলাম!
ঝিনুকে মুক্তা হলে চুপ হয়, আমরা অসহায় হলে চুপ হয়ে যাই।””
লেখা – নঈম নিজাম, সম্পাদক – বাংলাদেশ প্রতিদিন।