নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে, পি, জে বিশেষায়িত হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি রেফারেল হাসপাতাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিখ্যাত কে, পি, জে হেলথ কেয়ার বারহাদ দ্বারা পরিচালিত এই হাসপাতালের ৬১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ১৭৫ জন সেবিকা সার্বক্ষরনক রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছেন। করোনার এই দুর্যোগকালে সরকারী হাসপাতালে গুলোর পাশাপাশি বঙ্গমাতা হাসপাতাল সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছে।
হাসপাতালে প্রবেশের মুখে বসানো হয়েছে ফ্ল সেন্টার যেখানে জ্বর ও কাশির রোগীরদের অন্য রোগী হতে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে সকলের প্রবেশ মুখে তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ডরাব প্রদান, আলাদা বেসিনে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা , ডিসইনফেকশন টানেল দিয়ে ঢোকা এবং পায়ে জিবানুনাশক ছিটানোর মাধ্যমে ফুল হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত রাখা হয়েছ।
হাসপাতালের সকল সেক্টরে নিয়মিত ফিউমিগেশন ও ফগিং এর মাধ্যমে জীবানুমুক্ত রাখা হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি সংযুক্ত হয়েছে আল্টাভায়োলেট জীবানুনাশক মেশিন যা দিয়ে পি পি ই, মাস্ক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত করা সম্ভব ।
হাসপাতালের সকল সদস্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশমতো সুরক্ষা সামগ্রী পি পি ই ব্যবহার করে সেবাদান করছে।
আমরা গত বেশ কিছুদিন ধরে সু-শৃংঙ্খল ভাবে, সরকারের নির্দেশমতে সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনার ২০০ হতে ২৫০ স্যাম্পল সংগ্রহ করে NILMRC তে পাঠাচ্ছি। NILMRC ারে ডিরেক্টর ডাঃ শামসুজ্জামান আর টি পি সি পরীক্ষা করে ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষার ফলাফর জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের সকল ভর্তি রোগীদের জন্য এই সেবা চালু রয়েছে। ফলে অন্য যে সকল রোগী করোনা মুক্ত তাদের হাসপাতাল হতে ইনফেকশন হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
স্যাম্পল কারেকশন সেন্টারটি মুল হাসপাতারের বাহিরে হওয়ায় ব্যাপার টি কে আরও নিশ্চিত করা যায়।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের এক্সিকিউটিভ মেম্বার মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্রিক পি এস সি-র আন্তরিক প্রচেষ্টায় বঙ্গমাতা হাসপাতালে আর টি – পি সি আর ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২রা জুন মাননযি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আর টি- পি সি আর ল্যাব টি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মেয়র গাজীপুর – এাড. জাহাঙ্গীর আলম, ডেপুটি কমিশনার গাজীপুর সৈয়দ তরিকুর ইসরাম, সিভির সার্জন গাজীপুর – মোঃ খায়রুজ্জামান , এস িপি গাজীপুর – মিস শামসুন্নাহার।
তাই ল্যাবটি শুরুতে প্রতিদিন ২০০ টি নমুনা পরিক্ষা করতে পারবে। ফলাফল দিতে সময় লাগবে ২৪ ঘন্টা । বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে, পি, জে বিশেষায়িত হাসপাতাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র আদর্শে আন্তজাতিক মানের চিকিৎসা সেবায় সর্বদা দেশবাসীর পামে আছে ও থাকবে। হাসপাতালের অকুতোভয় করনাজয়ী চিকিৎসক ও সেবিকারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক ব্লাড ব্যাংক টি প্লাজমা ও প্লাটিনেম প্রস্তুতে সক্ষম । উর্লেখ্য প্লাজমা থেরাপি করোনা যুদ্ধে চিকিৎসকদের অন্যতম হাতিয়ার।
বঙ্গমাতা হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ২৪ ঘন্টা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্তাবধানে দক্ষ চিকিৎসক ও সেবিকা দ্বারা সকল প্রকার মেডিকের, সারজিক্যাল, অ্যাকসিডেন্ট, পোড়া রোগী, ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, মাথায় আঘাত ও প্রসুতি রোগীর চিকিৎসা হয়।