রাঙামাটি প্রতিনিধি: মহামারী করোনা ভাইরাসে আশংকাজনক হারে সংক্রমিত হচ্ছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাবাসী। জেলায় ৬ মে প্রথম করোনা শনাক্তের পর মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে ৮২ জন আক্রান্ত ২ জনের প্রাণহানি।আতংকের বিষয় যে, স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও চিহ্নিত রেড জোন ও ইয়োলো জোনের লোকজন জেলায় ঢুকে রাঙামাটি জেলাকে অধিক ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এরই মধ্যে ১০ উপজেলার মধ্যে আক্রান্ত ৮ উপজেলা। শনাক্তমুক্ত রয়েছে বরকল ও বাঘাইছড়ি ২ উপজেলা। সীমিত করোনা পরীক্ষা ও ফলাফলের ধীরগতির কারণে শনাক্তের সংখ্যা দুয়ের ঘরে থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা যে তার অধিক হবে তা সারা দেশের এবং কি পার্বত্য অঞ্চলের অন্য জেলাগুলির অবস্থা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনের রাঙামাটিতে আনাগোনা দেখেও কিছুতা অনুমান করা যায়।
আজ ১১ জুন রাঙামাটিতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ৬ষষ্ঠ সপ্তাহ পূর্ণ হলো। শনাক্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮২ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তার মধ্যে একজন একটি বেসরকারী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। জেলায় মোট কোয়ারেন্টাইনে ৩০৪২ জন। হোম কোরেন্টাইনে ১৯৬৬ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১০৭৬ জন। এরমধ্যে কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন ২৮৬২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮০ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন।
এ পর্যন্ত ১৪৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইন্সষ্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে ১২৪২ জনের, রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে ২১৭ জনের। তথ্যটি সিএইচটি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মোস্তফা কামাল।
জেলাবাসীর আতঙ্ক আক্রান্তের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আজ পর্যন্ত একটিও ফোরহেড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার নাই বলে জানা গেছে। করোনা টেষ্টের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য সাধারন মানুষের দাবি থাকা সত্ত্বেও ল্যাব স্থাপনের কোন উদ্যোগই নেই। তাই করোনা সংক্রমন সহনীয় রাখতে বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলাবাসীর দাবি উঠেছে পিসিআর ল্যাব স্থাপন ও ফারহেড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এর ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার অনলাইনে দেওয়া তথ্যমতে সারাদেশে মাত্র ৫৫টি ল্যাবে একদিনে (আজ ১১ জুন) ১৫ হাজার ৭৭২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ১৮৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।