বিনোদন প্রতিবেদক :স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, মার্কেট, অফিস-আদালত খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসিও খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিনেমা হল খোলার নির্দেশনা এখনো পাননি হল মালিকরা।
এদিকে কয়েকটি সিনেমার শুটিংও শুরু করেছেন প্রযোজক, নির্মাতা। এছাড়া বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সিনেমা হল না খুললে এসব সিনেমা কোথায় মুক্তি দেওয়া হবে?গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
এ নিয়ে সিনেমা হলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করেছে প্রযোজক সমিতি। এখন পর্যন্ত এর কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব পাননি তারা। বিষয়টি উল্লেখ করে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘বেশ কিছু সিনেমার শুটিং শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এছাড়া এখনো কয়েকটি সিনেমার শুটিং চলছে। প্রেক্ষাগৃহ না খুললে এসব সিনেমা কোথায় মুক্তি দিবেন প্রযোজক! সিনেমা মুক্তির নিশ্চয়তা না পেলে প্রযোজক সিনেমা বানানো বন্ধ করে দিবে। এটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই সিনেমা হল খুলে দেওয়ার জন্য হলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না তারা।’
গত দুই মাস ধরে সিনেমা হল বন্ধ থাকার কারণে হলের মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন ঠিকমতো দিতে পারছেন না। এসব কারণে সিনেমা হল খোলার অনুমতি চাইছেন হল মালিকরা।
হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দু’মাস ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে হল মালিকদের। এর মধ্যে মেশিন, সার্ভার ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে। সবকিছু যেহেতু খুলে দেওয়া হয়েছে আমরাও চাচ্ছি সিনেমা হল খুলে দেওয়া হোক। আশা করছি, হল খুলে দেওয়ার অনুমতি দেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সিনেমা প্রদর্শন করা হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ। করোনা প্রকোপ শুরুর আগে বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রচার শুরু করেছিল সংশ্লিষ্টরা। এ তালিকায় রয়েছে—‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘জ্বীন’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’, ‘বান্ধব’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘শান’, ‘বিদ্রোহী’, ‘মন দেব মন নেব’, ‘আমার মা’, ‘পরাণ’, ‘বিক্ষোভ’ সহ বেশ কটি সিনেমা।