বিনোদন ডেস্ক : সরকারি ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টিভি নাটকের শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছে টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট আন্তঃসংগঠন। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকে শুটিংয়ে ফিরেছেন।
অন্যদিকে দেশের প্রথম সারির অধিকাংশ তারকা এখনই শুটিংয়ে ফিরতে নারাজ। এ তালিকায় রয়েছেন—চঞ্চল চৌধুরী, মেহজাবিন চৌধুরী, মোশাররফ করিম, আফরান নিশো, ফজলুর রহমান বাবু, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব প্রমুখ।
দীর্ঘ দিন শুটিং বন্ধ থাকার কারণে অনেক কলাকুশলী যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি টিভি চ্যানেলগুলোও নতুন নাটক-টেলিফিল্মের সংকটে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের বেশ কজন অভিনয়শিল্পীকে শুটিংয়ে ফেরার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আর টিভি কর্তৃপক্ষ।
মেহজাবিন চৌধুরীকে পাঠানো একটি চিঠি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। চ্যানেলটির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে—করোনার এই সময়ে সকলেই বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্রে পড়েছে। বিশেষ করে টেলিভিশন নাটক সংশ্লিষ্ট কেউ-ই এর বাইরে নয়। নাটকের কাজ না হওয়ায় নাটক সংশ্লিষ্ট অনেকে অর্থ কষ্টে পড়েছেন।
শুটিংয়ে ফেরার আহ্বান জানিয়ে আরো লিখেন—শুটিংয়ের অনুমোদন দেওয়ার পরও পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনার মতো জনপ্রিয় শিল্পী নিয়মিত কাজ শুরু না করায় স্বল্প আয়ের শিল্পীরা সীমাহীন অর্থ কষ্টের মধ্যে পড়েছে। সকলের জন্য আমরা, এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপনার সহকর্মী ও শুটিং সংশ্লিষ্ট সকলের জীবিকার কথা বিবেচনা করে আগামী ঈদে যেকোনো চ্যানেলে একাধিক নাটক-টেলিফিল্মে অংশগ্রহণ করার বিনীত অনুরোধ করছি। আপনার অংশগ্রহণে হয়তো বাঁচতে পারবে আপনার সহকর্মী ও শুটিং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবার।
এর আগে শুটিংয়ে ফেরা প্রসঙ্গে মেহজাবিন চৌধুরী বলেন—‘এই পরিস্থিতির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি এখন শুটিং করব না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ করা যাবে। কিন্তু তার আগে তো বাঁচতে হবে। সবকিছু ঠিক হোক তারপর দেখব। এ মুহূর্তে আসলে কাজ নিয়ে একদম ভাবছি না। ভাবনায় শুধু এই পরিস্থিতি। কবে যে সবকিছু ঠিকঠাক হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় আছি।’
গত ২২ মার্চ থেকে টেলিভিশন নাটকের সব ধরনের শুটিং বন্ধ ছিল। সরকারি ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কয়েক দফায় শুটিং বন্ধের সময় বৃদ্ধি করা হয়। তবে গত ১৫ মে শর্ত সাপেক্ষে নাটকের শুটিং করার অনুমতি দিয়েছিল টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট আন্তঃসংগঠন। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার একদিন না পেরুতেই সব ধরনের শুটিং বন্ধের নির্দেশ দেয় সংগঠনটি। সর্বশেষ গত পয়লা জুন থেকে শুটিংয়ের অনুমতি দেয় আন্তঃসংগঠন।