জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। জনগণের চোখের ভাষা মনের ভাষা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার বোঝেন বলেই যেকোনো বিষয়ে সরকার দ্রুততম সময়ে রেসপন্স করেন। রাজনৈতিক পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন।
রোববার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বলতে চাই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান স্বাস্থ্য খাতে জেকেজি-রিজেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এবং অন্যান্য যেসব অনিয়ম হচ্ছে সেসব হাসপাতালে অভিযান চালানোর জন্য সরকারকে আগে কেউ বলে দেয়নি। কারো পরামর্শে সরকার অভিযান পরিচালনা করেন শেখ হাসিনা সরকার নিজেই এসব অনিয়ম উদঘাটন করেছেন। তার ম্যকানিজম দিয়ে অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেননি। স্বতপ্রণোদিত হয়েই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং এই অভিযান বিভিন্ন খাতে অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ যারা অনিয়ম নিয়ে কথা বলছেন তাদের সমেয় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতি বিষয়ক ধারা বাতিল করে বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার কোনো অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি বরং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সোচ্চার থেকেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা দলীয় পরিচয়েও ছাড় পায়নি। বুয়েট-এর আবরার, বরগুনার রিফাত শরীফ, ফেনীর নুরসরাতসহ অন্যান্য ঘটনায়ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে উদারতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট পিতামাতাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ক্ষত বুকে চেপে তিনি গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বাসায় সন্তান হারা মাকে সান্ত্বনা দিতে। সেখানে তার সাথে কী আচরণ করেছিল তারা, তা বিএনপি ভুলে গেলেও আওয়ামী লীগ ভুলেনি।
এর আগে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে।
এ সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠান, গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।