নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও বাড়াতে রপ্তানির পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধানের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস।
গতকাল মঙ্গলবার ‘ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ’ বিষয়ক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এই আহ্বান জানান।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সহযোগিতায় ভারতের হাইকমিশন (এইচসিআই), ঢাকা যৌথভাবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারে শতাধিক শিল্প নেতারা অংশ নেন।
হাইকমিশনার রিভা আশা প্রকাশ করেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দুর্দান্ত পর্যায় এবং রেল ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে উভয় দেশ কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক যোগাযোগ পদক্ষেপের ফলে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশই বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলোও ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।’ তিনি বাংলাদেশের চমৎকার উৎপাদন পরিবেশ, তরুণ জনগোষ্ঠী ও অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের কথা উল্লেখ করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে প্রবর্তিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পটি তুলে ধরে রিভা বলেন, এটি ভারতকে অংশীদার দেশগুলোর সহযোগিতায় বৈশ্বিক মান শৃঙ্খলের অংশ হতে সহায়তা করবে।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় ২১ ট্রিলিয়ন টাকার একটি উদ্দীপক প্যাকেজ অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কুটির শিল্পগুলোকে সহায়তা করবে, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে উৎসাহ দেবে, বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং ভারতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ গতিশীল করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এটি ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির বিশাল সুযোগ উন্মুক্ত করবে।’
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ যেসব নতুন সুযোগ পেয়েছে তা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
তিনি শক্তিশালী বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও বিনিয়োগ, সংহতি, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।