অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: বাংলাদেশের জন্য আরও জাপানি বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য জাইকার সহায়তা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার (সচিব) মো. নজরুল ইসলাম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আরও জাপানি বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য জাইকার সাহায্য চেয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে আরও বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকে জাপানকে বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাপান আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’
তিনি তরুণ প্রজন্মকে সুদক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জাইকার প্রতি আহ্বান জানান।
জাইকার প্রেসিডেন্ট অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ বিকাশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাইকার প্রেসিডেন্টকে জানান যে, জাপানের মতোই কৃষি থেকে শিল্পায়নের পথে চলতি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জাপানকে রোল মডেল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে প্রাধান্য বজায় রাখার লক্ষ্যে এশিয়ার উন্নত, উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলায় জাপানের নাগরিকদের মৃত্যুর কথাও স্মরণ করেন এবং দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
জাইকা প্রেসিডেন্ট তৃতীয় মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ ও জাপানের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করে জাইকার প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। জাইকা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা বাংলাদেশে গবেষণা কর্মসূচি আরও জোরদার করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।