জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে এখনো অস্বাভাবিকতা বিরাজ করছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই। সে আন্দোলন করবে ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষ। আমাদের তাদের কাছে যেতে হবে। ঘরে বসে থেকে কথা বলে কোনো লাভ নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শিশুকল্যাণ পরিষদে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আন্দালনে রাস্তায় নামার পথ খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করতে হবে। কারণ, আন্দোলন ছাড়া কোনো ভালো কিছু অর্জন এদেশে হয়নি।
তিনি বলেন, দেশ এখন একনায়কতন্ত্র, অনৈতিক, একদলীয়কেন্দ্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে চলছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের মানুষের অধিকারের জন্য; আর যারা এর বিপক্ষে ছিল তারা ছিল পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের পক্ষে। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করছে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন মহাবীর, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতি, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তিনি একজন নেতা যিনি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করেছিলেন। পঁচাত্তরে শাসকরা যারা দুর্ভিক্ষ দেখিয়েছে, স্বৈরশাসক প্রতিষ্ঠা করেছে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে।
দুদু বলেন, পঁচাত্তরের পরে সময়টা হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকিত সময়। শেখ মুজিবুর রহমান যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দলের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার পূর্ণ সুযোগ দিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই সত্যটা যদি আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিতো তাহলে বাকি সত্যগুলো প্রকাশিত হতো।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানকে আমরা খারাপ ভাবি, সেই পাকিস্তান ১৯৭০ সালের নির্বাচন রাতে করেনি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচন আগের দিন রাতে করা হয়েছে। সেজন্য বলি দেশে এখন অস্বাভাবিকতা বিরাজ করছে, এ অস্বাভাবিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শহীদ জিয়ার পথ, বেগম খালেদা জিয়ার পথ আন্দোলনের পথ। সেজন্য সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আন্দোলনের পথ খুঁজে বের করি। সেই আন্দোলনকে সফল করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মাঝে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।