রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

প্রতারক লিটনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতির বিস্তর অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৪৯ বার পঠিত

 

‘বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে টাকা আদায়ের জন্য সমাজের বিশিষ্টজন ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ছিল প্রতারক সিকদার লিটনের অন্যতম প্রধান কাজ। যতটুকু জানি লিটন খুবই লোভী ও প্রতারক। এলাকার গুণী-মানি ব্যক্তিদের নিয়ে আজেবাজে পোস্ট দিয়ে টাকা আদায় তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে নিয়েও ফেসবুকে সে মিথ্যা কথা লিখেছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) করেছিলাম।’

কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন।

সাইবার অপরাধের মামলায় কারাবন্দি প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের কথা জানিয়ে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, আমাকে নিয়ে প্রতারক সিকদার লিটন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা কথা লিখেছিল। আমি নাকি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছি। সাংবাদিক নেতা হলেও আমার বিরুদ্ধে সে এভাবে লিখেছিল। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) করেছিলাম। থানা পুলিশ অভিযোগটি আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তা তদন্তাধীন।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে সিকদার লিটন স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত। এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে সে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৮। এরপর রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় সিআইডি।

সাংবাদিক এনায়েত হোসেন আরও বলেন, প্রতারক লিটন আলফাডাঙ্গার পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছিল। তার নাকি (সাইফার) ঢাকায় তিন-চারটা বাড়ি আছে। তিনি নাকি শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এভাবে অনেক সম্মানী ব্যক্তিকে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছে; গুজব ছড়িয়েছে সিকদার লিটন। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড এলাকার মানুষের মুখে মুখে।কারাবন্দি প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই।

প্রতিদিনই ভুক্তভোগী মানুষের কাছ থেকে লিটনের শঠতা ও প্রতারণার তথ্য আসছে। মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো, তঞ্চকতা, ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দিয়ে টাকা হাতানোর ধান্দাবাজি ছিল তার পেশা।

ভয়ংকর এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়িত ছিল না সিকদার লিটন। নিজের শ্বশুরের নামেও পাঁচটি মামলা করেছিল এই প্রতারক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com