২৬ ঘণ্টার অল্প কিছু কম সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে রেকর্ড গড়েছেন হংকংয়ের নারী পবর্তারোহী সাং ইন–হাং । তাঁর আগে কোনো নারী পর্বতারোহী এত কম সময়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পারেননি।
নেপালের কর্মকর্তাদের বরাতে আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে হংকংয়ের নারী পর্বতারোহীর এ রেকর্ডের কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৪ বছর বয়সী সাং ইন–হাং একসময় স্কুলে পড়াতেন। পরবর্তী সময়ে পর্বত জয়ের নেশা পেয়ে বসে। এবার নিয়ে ৩ বার এভারেস্ট অভিযানে যান তিনি। ২০১৭ সালে সাং ইন–হাং হংকংয়ের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন।
এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের লিয়াজোঁ অফিসার জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ বলেন, হংকংয়ের নারী পর্বতারোহী সাং ইন–হাং ২৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ২৯ হাজার ৩১ ফুট (৮৮৪৮.৮৬ মিটার) উচ্চতার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। তিনি গত শনিবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে বেস ক্যাম্প থেকে রওনা হয়ে পরের দিন বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চূড়ায় পৌঁছান।
এর আগে সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড রয়েছে নেপালের নারী পর্বতারোহী পুঞ্জো ঝাংমু লামার। তিনি এ অর্জনে সময় নিয়েছিলেন ৩৯ ঘণ্টা ৬ মিনিট। তাঁর সেই রেকর্ড ভেঙেছেন হংকংয়ের সাং ইন–হাং।
তবে এখনই নারী পর্বতারোহী হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন না সাং ইন–হাং। এ জন্য তাঁকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করে তথ্য–প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। সনদ পেলে তবেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতি পাবেন। নেপাল সরকার পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের সনদ দেয়। তবে নতুন কোনো রেকর্ড হলে সেটার সনদ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিতে হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল–জাজিরা।
করোনার কারণে গত বছর এভারেস্ট অভিযান বন্ধ রেখেছিল নেপাল। এবার দেশটির সরকার ৪০৮ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি দিয়েছে। দেশটির সরকারি হিসাবে, তাঁদের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি পর্বতারোহী অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া পর্বতারোহীদের অন্তত ২টি দল বেস ক্যাম্পে তাঁদের কয়েকজন সদস্যের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় অভিযান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।