নিজস্ব প্রতিবেদক : রোদ বৃষ্টি ঝড় সব কিছুকে উপেক্ষা করে ঢাকা- ১৮ আসনের উপ নির্বাচনের আগে জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর এমনটাই জানিয়েছেন আলহাজ্ব হাবিব হাসান এমপি। তাঁর নির্বাচনী এলাকার ওয়ার্ল্ড গুলোতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি কমাতে জনগনের পাশে থেকে এলাকার রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্হানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তি বর্গ ও সুশীল সমাজের নেত্রী বৃন্দ সহ স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গণ। চলমান বর্ষায় সীমাহীন দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে জীবন যাপন করছেন ঢাকা ১৮ আসনের অন্তর্গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সংযুক্ত নতুন ১২টি ওয়ার্ডের অর্থাৎ দক্ষিণ খান, উত্তর খান, তুরাগ, হরিরামপুর, ভাটারা, বেরাঈদ, ডুমনির বাসিন্দারা। এই দুর্ভোগে জনগনের পাশে থেকে জলাবদ্ধতা সহ সকল সমস্যার তড়িৎ সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিব হাসান এমপি। যেখানে জলাবদ্ধতার কথা শুনছেন তিনি সরাসরি সেখানে ছুটে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে সড়কের পানি সরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। এ ছাড়াও কয়েকদিন পরপর প্রতিটি এলাকায় গিয়ে জনগনের সমস্যা দেখছেন যেন নাগরিক সুবিধাগুলো ভোগান্তি ছাড়াই জনগন পেতে পারে।

ইতিমধ্যে টিয়ার ও কাবিখার বরাদ্ধকৃত টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে খতিব,ইমাম,সভাপতি সহ দায়িত্বশীল লোকজনের হাতে তুলে দিয়ে ঢাকা-১৮ আসেন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বলে জানিয়েছেন সর্বস্তরের আপামর জনগণ। এমপির হাত থেকে মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা পেয়ে খতিব, ইমাম ও সভাপতি সহ প্রিন্সিপালরা আবেগাপ্লুত হয়ে এমপি হাবিব হাসানের প্রসংশা করে গনমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে একাধিক মাদ্রাসার প্রেন্সিপাল ও খতিব বলেন, মসজিদ -মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সরকার টাকা বরাদ্ধ করে এটা আমরা জানতামনা। অথচ আমরা সাবেক এমপির সাথেও প্রায় সময় দেখা করেছি এবং মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের বরাদ্ধের আবেদন করেছি।

কিন্তু কখনও কোন অনুদান পাইনি। বর্তমান এমপি হাবিব হাসান প্রায় শতাধিক মসজিদ ও মাদ্রাসায় অনুদান দিয়েছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দখলবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের কঠোর হুসিয়ারি করে হাবিব হাসান বলেন, দখলবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ,চাঁদাবাজদের স্থান আমার কাছে নেই, এরা কেউ আমার বন্ধু নয়। ঢাকা ১৮ আসনকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গুটি কয়েক ব্যাক্তির অপকর্মের জন্য জননেত্রীর দীর্ঘ দিনের অর্জন বৃথা যেতে পরেনা। দর্নীতিমুক্ত ঢাকা ১৮ আসন গড়তে সকলের সহযোগীতা চান তিনি।

হাবিব হাসান বলেন, আমার ইচ্ছা আছে জনগনের জন্য মন উজার করে কাজ করার। আমাদের সমস্যা অনেক কিন্তু সামর্থ নেই।নতুন করে সিটি করপোরেশনে যুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন উন্নয়ন হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে থাকলে স্বাভাবিক যে উন্নয়ন হতো, তাও বন্ধ ছিল, ভাঙাচোরা রাস্তা, বৃষ্টিতে হাটুপানি হয়ে এলাকা ডুবে যাওয়া, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা সমস্যা দেখলে আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি সর্বাত্নক চেস্টা করে যাচ্ছি, যেখানে যেখানে যাওয়ার দরকার সব জায়গায় সরাসরি গিয়ে কথা বলছি। আশা করি ঢাকা মহানগরের মধ্যে ঢাকা ১৮ আসনের জন্য আমি সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাব ইনশাআল্লাহ্।

আমি মেয়রের সাথে সমন্বয় করে জনগনের সেবায় নিয়োজিত আছি। চলমান পানিবদ্ধতা নিরসনের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ড্রেন পরিষ্কার করা, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, নিচু জমি পরিষ্কার করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করাসহ যেভাবে ওয়ার্ডগুলোর মানুষ একটু আরামে বসবাস করতে পারে আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।

আলহাজ্ব হাবিব হাসান ঢাকা ১৮ আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার রাজনীতিতে ত্যাগী ও স্বচ্ছ নেতা কর্মীদের কদর বাড়তে শুরু করেছে।একাধিক সুত্রে জানা যায় দলের জন্য নিবেদিত কর্মীদের মূল্যায়ন করছেন তিনি। রাজনৈতিক কোন্দল সৃস্টি না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে চান।