নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহার পর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে সারাদেশের জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়ালি জামিন পেয়েছেন ৫৬৯ জন হাজতি।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।
গত ২৩ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যাবলী বা চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় করোনাজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালসমূহের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনা করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং মহানগর দায়রা জজ ফৌজদারি জরুরি দরখাস্তসমূহ প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন। সেই অনুসারে জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়াল জামিন শুনানি হয়।
মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, গত ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত মোট পাঁচ কার্যদিবসে সারাদেশের জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ আদালতে এক হাজার ৪৯৮টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এতে মোট ৫৬৯ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার হতে মুক্ত হয়েছেন।