নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হবে। এবার একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি বন্ধ করতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ নিলে সহজেই শনাক্ত হবে। ইতোমধ্যে এই সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি কার্যকর করার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১২ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফরম পূরণ হবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট কলেজ এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবকের সচল একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করবে। প্রতিষ্ঠান, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেট করা থাকবে। পরীক্ষার্থীর কাছে কত টাকা পাওনা, কলেজ শুধু সফটওয়্যারে সেই টাকার পরিমাণ অ্যান্ট্রি করবে। তারপর পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের নিবন্ধিত ফোন নম্বরে চলে যাবে একটি এসএমএস, যাতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ থাকবে।
কোনো পরীক্ষার্থী যদি মনে করে, তার কাছে অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। সেখানে সমাধান না পেলে বোর্ডের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবে। তাৎক্ষণিক তা যাচাই-বাছাই করবে বোর্ড। প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণের প্যানেল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করতে প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি বা সতর্কতা জারি করা হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। নানা খাত দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে। এ কারণে আমরা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ফরম পূরণ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএস পাবে। তাতে সে দেখতে পারবে, কোন খাতে কত টাকা ফি আর প্রতিষ্ঠান কত টাকা নিয়েছে। কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তার তথ্য দাখিল করে অভিযোগ দিতে পারবে। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযোগ দেয়া যাবে যেখানে : এইচএসসির ফরম পূরণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোল রুমের নিম্নোক্ত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০২-৯৬৬৯৮১৫, ০২-৫৬৬১১০১৮১, ০২-৫৮৬১০২৪৮, ০১৬১০৭১১৩০৭, ০১৬২৫৬৩৮৫০৮, ০১৭২২৭৯৭৯৬৩।