আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে গত ৩১ আগস্ট মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের নাগরিকসহ কয়েকশ যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে কাবুল ত্যাগ করেন আফগান দোভাষীসহ অন্যরা। খবর বিবিসির।
মার্কিন সেনারা কাবুল ত্যাগ করার পর বিমানবন্দরটি সংস্কারের দায়িত্ব নেয় কাতার। প্রথমে তারা অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল।
সম্প্রতি কাতার সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে সহায়তার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে সহায়তাকারী শতাধিক আফগান দোভাষী গত মাসে কাবুল ছাড়তে পারেননি। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১১৩ জন সবশেষ আফগানিস্তান ছেড়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডিমিনিক রাব জানিয়েছেন, ১৩ ব্রিটিশ নাগরিক দোহায় পৌঁছেছেন। তিনি কাতারকে ধন্যবাদও জানান।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা কাবুল ছাড়তে পেরেছেন। কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এতে বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তালেবান খুব পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশ ছাড়তে। কানাডাও নিশ্চিত করেছে যে, ওই ফ্লাইটে করে তাদের ৪৩ জন নাগরিক কাবুল ছেড়েছে।
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত ড. মুতলাক বিন মাজেদ আল কাহতানি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে, আফগানিস্তানের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ কাবুল বিমানবন্দর এখন চালু রয়েছে।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর এবং ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিকভাবে এই প্রথম ফ্লাইট আফগানিস্তান ছাড়তে পেরেছে। রাজনৈতিক গোলযোগ আর বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণে দেশটিতে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন সেনা সদস্যও নিহত হন। এ পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর ভয় আর আতঙ্কে ভিটে ছেড়েছেন।