গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালত জাতীয় পার্টির স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গং এর বিরুদ্ধে আদালতের সমন জারি করেছে।
জিএম কাদের ঘোষিত কমিটির সদস্য কাজী মনির হোসেনর দায়ের করা দেওয়ানী মোকাদ্দমা ৯৯/২০২২ নং মামলায় সমন জারি কারেন দায়ের করেন গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালত।
উক্ত মোকাদ্দমায় স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক , জিএম কাদের ঘোষিত গাজীপুর মহানগর সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিন, সচিব- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে সমন জারি করেন। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যর পর জাপা গঠনতন্ত্র কে বৃন্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অতি উৎসাহী সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান করেন। নিজে কে চেয়ারম্যান ঘোষনা করেই ক্ষ্যান্ত হননী, প্রতিষ্ঠিতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক দেওয়া চলমান কমিটি কে বাতিল করে অর্থের বিনিময়ে নতুন কমিটি করেন,সেইসাথে বিভিন্ন জেলা জেলায় বহিষ্কার পদায়ন শুরু করেন যাহা সম্পুর্ণ গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক।
যার ফলে সারা বাংলাদেশ ব্যাপি জাপা কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী ফুঁসে উঠেন,সেই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সারা বাংলাদেশের জেলায় জেলায় নেতা কর্মীরা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫ টি মামলা করেছেন।
গত ২৬-৫-২০২২ ইং তারিখে জাপা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাফিজ মাহবুব কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় রাজধানী ঢাকা জজ কোর্টে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতেও জিএম কাদের গং দের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন যাহার মোকাদ্দমা নং ১২৩৮/২২। উল্লেখ্য গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করে জিএম কাদের নিজেকে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ঘোসনা হওয়ার পর উচ্চ আদালত মহামান্য হাইকোর্টেও একটি রীট মোকাদ্দমাও চলমান আছে, মহামান্য হাইকোর্ট রীট মোকাদ্দমা নং ১৫০৫১ ।
এই বিষয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কো- চেয়ারম্যান দয়াল কুমার বড়ুয়া কে ফোনালাপে বিষয়টি নিশ্চিত করেন । তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠিতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার জীবদ্দশায় উনি যেসব কমিটি দিয়ে গিয়েছিলেন সেসব কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ার আগেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন এবং নতুন কমিটি, পদায়ন,ও বহিষ্কার আদেশ অব্যাহত রাখেন, যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে বলে বিশ্বাস করি।