সাংবাদিক নিয়োগের নামে চলছে প্রতারণা। বেছে নেয়া হচ্ছে নামিদামি জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেল।
প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হচ্ছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। রাজধানী থেকে কথিত এক সম্পাদককে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আইনি দুর্বলতার কারণে প্রতারণা করে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।
মাসুদ আলম ওরফে শুভ। বয়স মাত্র ৩০। এ বয়সেই তিনি বনে গেছেন চারটি পত্রিকার সম্পাদক ও কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের বড় কর্মকর্তা। গোয়েন্দা জালে আটকের পর জানা গেল পুরোটাই তার প্রতারণা।
জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশনের নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতেন তিনি। আগ্রহীদের কাছ থেকে নিতেন অগ্রিম টাকা। একটি পত্রিকার সম্পাদকের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২ বছর ধরে কথিত এ সম্পাদক প্রতারণ করে আসছিলেন।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম স্পেশাল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারিক বিন রশিদ বলেন, প্রথমে সাংবাদিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আর জানায় আগ্রহী ব্যক্তিরা কাজ পেতে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নক করতে। কার্ড ও ক্যামেরার ৩ হাজার টাকা দাবি করে সে। পরে ভুক্তভোগী যখন টাকা পাঠায় তারপর সে ওই ব্যক্তিকে ব্লক করে দেয়। এভাবেই সে প্রতারণায় জড়ায়। তার ১০টি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে।
পুলিশ বলছে, প্রতারণার মামলায় সহজেই জামিন পাওয়া যায়। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ প্রতারণা করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেই মামলা করা উচিত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা অপরাধের যে ধারাগুলো দেখতে পেয়েছি সেটিতে অন্যতম অপরাধ হলো প্রতারণা। যেনতেনভাবে মানুষ আজকাল বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করছে। অনেকে বড়লোক হওয়ার জন্য টাকা-পয়সা দেয়, অনেকে নিয়ে সেটা প্রতারণা করে। প্রতারণার মামলার ধারাগুলো সহজ হওয়ার কারণে দ্রুত তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল বিষয়টি বেশি ব্যবহার হচ্ছে প্রতারণার ক্ষেত্রে।
তবে এ ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদেরও দায় রয়েছে।