স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। ডলার সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপণ্য আমদানিও। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই তীব্র জ্বালানি সংকটে গণপরিবহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার দুই সপ্তাহের জন্য সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করল দেশটির সরকার।
শুক্রবার (১৭ জুন) শ্রীলঙ্কার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিস ও স্কুল বন্ধের এ ঘোষণা দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এছাড়া পেট্রল ও ডিজেল সংকটের কারণে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সোমবার (২০ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে যান চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনে জ্বালানির ব্যবস্থা করতে না পারায় অফিসে কর্মী-সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এর আগে গেল মঙ্গলবার (১৪ জুন) শ্রীলঙ্কা সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সরকারি চাকরিজীবীরা এখন থেকে সপ্তাহে চার দিন অফিস করবেন। আগামী তিন মাসের জন্য প্রতি শুক্রবার সরকারি দফতর বন্ধ থাকবে। কারণ সরকার চায়, ছুটি ও অবসর সময়ে সরকারি কর্মীরা চাষাবাদ করবেন। তাদের বাড়ির পেছনে বা অন্যত্র পতিত জমি ব্যবহার করে ফসল ফলাবেন, যা দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
এছাড়া জ্বালানি সংকটের কারণে অফিসে আসাও কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই বাড়তি একদিন বেশি ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছুটির ব্যাপারে সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী দিশে গুনাবর্ধন বলেন, শনি ও রোববার ছাড়াও কর্মচারীরা শুক্রবার অতিরিক্ত ছুটি ভোগ করবেন। তবে স্বাস্থ্য, জ্বালানি, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষাসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত কর্মচারীরা এ ছুটি পাবেন না।