ম্যাচ হারের বলয় থেকে যেন বেরই হতে পারছেন না টাইগাররা। সম্মানজনক হারেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ডমিনিকায় যেখানে আজও ব্যাটাররা ব্যর্থ, সেখানে একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৯৪ রানে টার্গেটে খেলতে নেমে যখন প্রথম ৮ বলেই দুই উইকেট নেই, তখন সাকিব আল হাসানের লড়াইয়ের শুরু এবং সেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১১ রানে সাজঘরে ফেরার পর তরুণ তুর্কি আফিফ হোসেনকে নিয়ে লড়াইটা শুরু করেন সাকিব আল হাসান।
২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন আফিফ। ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান, তবে তিনিও থিতু হতে পারেননি। এখন অসাধ্য সাধনের লড়াইয়ে সাকিব আল হাসান। এরইমধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবের ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশের ১৫০ ছোঁয়া। সেই সাথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ২০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান অপরাজিত থেকেছেন ৬৮ রানে।
বাংলাদেশ থেমেছে ১৫৮ রানে। তার মানে ৩৬ রানে হারের মুখ দেখতে হল টাইগারদের।
প্রথম আট বলেই বাংলাদেশের ছিল না দুই উইকেট। ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরেছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস, তার পরের বলেই তিন রানে সাজঘরের পথে এনামুল বিজয়।
আর এই দুই জনকেই ঘায়েল করেছেন ওবেড ম্যাককয়। চাপ সামলানোর আগেই সাজঘরে ফিরেছেন দলের অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওবেদ ম্যাকয়ের পরপর দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেছেন বাংলাদশের দুই ওপেনার লিটন দাস (৫) এবং এনামুল হক বিজয় (৩)।
ম্যাকয়ের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন লিটন, সেই ক্যাচ সহজেই তালুবন্দি করেন শামরাহ ব্রুকস। ম্যাকয়ের পরের বলটিকে স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে ফেরেন বিজয়।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ওডিন স্মিথকে এগিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে ম্যাকয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৭ বলে ১১ রানেই থামে তার ইনিংস।
প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের টার্গেট দিয়েছে নিকোলাস পুরানের দল। এই যাত্রায় ২৮ বলে ৬১ রানে ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন পাওয়েল। এর আগে ৫৭ রান করেছেন ওপেনার ব্রান্ডন কিং, অধিনায়ক নিকোলাস পুরান খেলেছেন ৩৪ রানের ইনিংস।
দলীয় ১৬৩ রানে ব্র্যান্ডন কিংকে হারানোর পর এবং ১৭৬ রানে শেফার্ডকে হারানোর পর জরের গতিতে রান তুলেন রোভমান পাওয়েল। ওপর পাশ থেকে তাকে সাপোর্ট দিয়ে যান আরেক মিডল-অর্ডার ব্যাটার ওডেন স্মিথ।
শরিফুল ইসলাম দলের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন এবং মেহেদী হাসান, সাকিব ও মোসাদ্দেক প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান।
স্কোরকার্ড:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৩/৫; ব্র্যান্ডন ৫৭, নিকোলাস ৩৪, রোভম্যান পাওয়েল ৬১; শরিফুল ৪০/২, সাকিব ৩৮/১।
বাংলাদেশ: ১৫৮/৬; সাকিব ৬৮, আফিফ ৩৪, মোসাদ্দেক ১৫; ওবেদ ম্যাককোয় ৩৭/২, রোমারিও ২৮/২।
ফলাফল: ৩৫ রানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।