মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ছেলের হাতে খুন হয়েছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ। এ ঘটনায় করা অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলায় জড়িত তিনজনকে আটকের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১৪-এর কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে স্কোয়ার্ড কমান্ডার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিহত আব্দুল আজিজের ছেলের বন্ধু বিজয় কর্মকার, তরিকুল ইসলাম ও আজহার মিয়াকে আটক করে।
অন্যদিকে আজিজের ছেলে বিপ্লবকে আটক করে পূর্বধলা থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে, মাদক সেবনে বিভিন্ন সময় বাধা দেয়ায় বাবা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও কথা কাটাকাটি লেগেই থাকত। ঘটনার দুদিন আগে আব্দুল আজিজকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারই ছেলে তরিকুল ইসলাম বিপ্লব। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য বিপ্লব তার ৫ বন্ধুকে ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করে। এ ছাড়া ২টি চাইনিজ কুড়াল কেনার জন্য তাদের আরও ২ হাজার ৭৫০ টাকা দেয় সে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর বিপ্লব তার বাবাকে ফোন করে জানায়, তাকে পুলিশ আটক করেছে। বিপ্লবের ফোন পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আব্দুল আজিজ পূর্বধলা এলাকার একটি পুকুর পাড়ে এলে পেছন থেকে রাসেল ও সাধন তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে দুদিক দিয়ে টান দেয়। এ ছাড়া বিজয় ও রানা আব্দুল আজিজের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিপ্লব তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথে মৃত্যু হয় আব্দুল আজিজের। এ ঘটনায় পরদিনই পূর্বধলা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আজিজের স্ত্রী।