আলোকস্বল্পতা না হলে রোববারই হয়তো ম্যাচটা জিতে যেত ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিনে ১৭ উইকেট পড়ার পর, গতকাল পড়েছে ১৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ১৬৯ রানে অলআউট করে ইংলিশরা লক্ষ্য পেয়েছে মাত্র ১৩০ রানের। যেখানে দিন শেষে বিনা উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৯৭ রান।
প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিন স্থগিত হয় প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্মানে। তিন দিনে পরিণত হওয়া টেস্ট দুই দিনেই জয়ের পথ করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে শেষ করতে হয় চতুর্থ দিনের খেলা।
সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পঞ্চম ও শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার ৩৩ রান। তিন টেস্টের প্রথমটি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা টানে স্টোকসের দল।
প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ইংলিশদের প্রথম ইনিংস থামিয়ে দেয় ১৫৮ রানে। মাত্র ৪০ রানে পিছিয়ে থেকে আবার ব্যাটিংয়ে নামা দলটি পড়ে স্বাগতিক পেসারদের তোপের মুখে। দ্বিতীয় ইনিংসে চার পেসারের বোলিং তোপে ১৬৯ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ উইকেট ভাগ করে নেন ইংল্যান্ডের চার বোলার। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার ধরেন ব্রড ও স্টোকস। দুটি করে প্রাপ্তি জেমস অ্যান্ডারসন ও অলিভার রবিনসনের।
চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ১৬ বলেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রতিপক্ষকে ১৫৮ রানে আটকে রাখার পর স্বস্তি নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেন সারেল এরউইয়া ও ডিন এলগার। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৮ রান। তবে সে স্বস্তি উবে যেতে সময় লাগেনি।
আক্রমণে এসেই জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন স্টোকস। এরপর অধিনায়ক এলগারও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। লাঞ্চের পর তৃতীয় ওভারেই তাকে এলবিডব্লিউ করে দেন ব্রড। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন ৬ চারে ৩৬ রান করা ব্যাটসম্যান। এর সুবাদে অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিং গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রার ৫৬৩ উইকেট ছাড়িয়ে যান ব্রড। সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি পেসারের তালিকায় শীর্ষে থাকা অ্যান্ডারসনের পর তিনি, সব মিলিয়ে পঞ্চম। ব্রডের এখন মোট উইকেট ৫৬৬টি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া ২০ রানও আসেনি আর কারো ব্যাট থেকে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৭৮ রানে।
জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম বলেই আঘাত হানতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে লিসের ক্যাচ মিস করেন ইয়ানসেন। এরপর আর তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা।