প্রয়োজন ৯ রান। ইংল্যান্ডের হাতে ছিল দুই ওভার ও তিন উইকেট। ১৯তম ওভারে বল করতে হারিস রউফকে ডাকলেন অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হজম করেন হারিস রউফ। ১০ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মাত্র ৫ রান। এ পরিস্থিতিতে তৃতীয় এবং চতুর্থ- টানা দুই বলে ২ উইকেট তুলে নেন রউফ। পাকিস্তানের জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও শেষ মুহূর্তে একটি বাউন্ডারি বা ছক্কাই সব বদলে দিতে পারে। তবে রউফ একটি লেগ বাই দিয়ে ওভার শেষ করেন। শেষ ওভারে দরকার ৪ রান। বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিমের প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলেই রানআউট হন টপলি। এত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ৩ রানের স্বস্তির জয় পায় পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা হন হারিস রউফ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ রান করে পাকিস্তান। ৮৮ রান করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬৭ রান।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ব্যাটারদের কেউ খুব একটা দাঁড়াতেই পারেনি। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ইংলিশরা। ৮ রানে ফিল সল্ট, ৫ রানে অ্যালেক্স হেলস এবং উইল জ্যাকস কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান।
মিডল অর্ডারেই যা কিছুটা রান ওঠে ইংল্যান্ডের। বেন ডাকেট করেন ৩৩ রান, হ্যারি ব্রুক করেন ৩৪ রান, মইন আলি করেন ২৯ রান এবং লিয়াম ডসন করেন ৩৪ রান। এছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারনি। ১৯.২ ওভারেই ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ, মোহাম্মদ নওয়াজও নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ হাসনাইন নেন ২ উইকেট এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন ১ উইকেট। ৭ ম্যাচের সিরিজ ২-২ এ সমতা বিরাজ করছে এখন।