চলতি আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ অব ডেথে পড়েছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বায়ার্নের বিপক্ষে হারার পর অবশ্য ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো জাভির দল। তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের কাছে হেরেছিল বার্সেলোনা। প্রথম দেখায় ১-০ গোলে হারের পর, বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে নিজ মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনাকে ৩-৩ গোলে রুখে দিয়েছে ইন্টার মিলান। এই ড্রয়ের ফলে শেষ ষোলতে যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ল বার্সার জন্য।
ক্যাম্প ন্যুতে সেই চিরচেনা বার্সাকে দেখা যায়। বল দখলে প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে থাকা, আর প্রতিপক্ষের শিবিরে বারবার আক্রমণ করা। এমনই চলতে থাকে প্রথমার্ধের প্রায় শেষ পর্যন্ত। তবে ম্যাচের ৪০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন উসমান দেম্বেলে। তার গোলে স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় হাফের পঞ্চম মিনিটেই বাসতোনির ক্রস থেকে ডি-বক্সের ভিতরে বল পেয়ে জোরালো এক শটে গোল করেন ইন্টারের ইতালিয়ান মিডফিল্ডার বারেল্লা। এরপর খেলা যেন ইন্টারের হাতে চলে যায়। একের পর এক আক্রমণ করে বার্সাকে কোণঠাসা করে ফেলে। বার্সা গোলরক্ষকের কল্যাণে বেশ কয়েকবার বেঁচে যায় বার্সেলোনা।
তবে ৬৩ মিনিটে চালহানোগলুর পাস কাজে লাগিয়ে গোল করেন ইন্টারের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মার্টিনেজ। এই গোলের পর টনক নড়ে বার্সা খেলোয়াড়দের। এরপর ইন্টার শিবিরে আক্রমণের মহরা বসায় বার্সার খেলোয়াড়রা। যার ফলও পেয়ে যায় ৮২ মিনিটে। বার্সার নতুন রিক্রুট রবার্ট লেভানডোস্কি গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান। তবে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে গোসেন্সের গোলে আবারো এগিয়ে গিয়েছিলো ইন্টার মিলান।
তবে যখন মনে হচ্ছিল গ্রুপ পর্ব থেকে বার্সেলোনার বাদ মোটামুটি নিশ্চিত, তখনই লেভানডোস্কি নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে আবারো সমতায় আনেন। ম্যাচের ৯২ মিনিটে তার হেডে মান বাচে বার্সেলোনার। শেষ ৩-৩ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই দল। যদিও এই ড্রতে এক পয়েন্ট পেয়েছে দুই দলই। তবুও পরের রাউন্ডের জন্য বার্সেলোনার কাজটা বেশ কঠিনই মনে হচ্ছে।
এই ড্রয়ের ফলে চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ইন্টার মিলান। আর সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে বার্সেলোনা।
এদিকে গ্রুপের আরেক ম্যাচে ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেছেন গোরেটজকা। আর একটি করে গোল করেছেন মুলার ও মানে।