কিশোরগঞ্জে বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তিনজন মিলে বন্ধু শরিফকে গলা কেটে খুন করেছে। ঘটনার ১১ দিন পর হত্যাকাণ্ডের এ রহস্য উদ্ঘাটন করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে কিশোরগঞ্জের বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ওই তিন বন্ধু।
এরা হচ্ছেন: ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার মনোব্যাপারী বাড়ির মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে হৃদয়, তার ভগ্নিপতি দড়িচন্ডিবেড় গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে বাদল ও মামা শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে নিলয়।
বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের পর বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তিন বন্ধু মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এরপর মরদেহ ছয়সুতি ইউনিয়নের মাটিকাটা এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তারা শরিফের নতুন ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে আত্মগোপন করেন।
২২ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে তিনজনকেই গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকাণ্ডের জট খুলে।
পুলিশ জানায়, ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার ৭টার পর শরিফ তার ইজিবাইকে হৃদয় ও তার ভগ্নিপতি বাদল এবং তার মামা নিলয়কে নিয়ে ঘুরতে বের হন। এ সময় হৃদয়ের বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে শরিফ। শুরু হয় বাগ্বিতণ্ডা। একপর্যায়ে হৃদয় ও তার সহযোগীরা শরিফকে নির্জন স্থানে নিয়ে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে হৃদয় ও নিলয় শরিফের হাত-পা চেপে ধরলে বাদল জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ ঘটনার পর তারা গাঢাকা দেয়। পরে ইজিবাইক বিক্রি করে ঢাকায় আত্মগোপন করে তারা। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই শিপন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।