কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া খাদ্যশস্য রফতানির চুক্তি স্থগিত করেছে। এর কড়া সমালোচনা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রুশ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত তাদের আজকের নয়। গত সেপ্টেম্বরে যখন তারা ইউক্রেনে উৎপাদিত খাদ্যশস্য বহনকারী জাহাজ আটকে দিয়েছিল তখনই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল।
জেলেনস্কি বলেন, বাংলাদেশ বা মিসরের জনগণের টেবিলে খাবার থাকবে কিনা সেটা কেন ক্রেমলিনের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে?
রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জাতিসংঘ ও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলো থেকে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরে ইউক্রেনের ‘ব্যাপক’ ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলে রাশিয়া খাদ্যশস্য রফতানির চুক্তি স্থগিত করে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের মিকোলাইভ অঞ্চলের ওচাকিভ শহরের মোতায়েন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ কারণে তারা আর ইউক্রেনের খাদ্যশস্যবাহী কোনো জাহাজকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। ফলে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, তুরস্কের সঙ্গে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী সংস্থাটি মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ‘ব্ল্যাক সি গ্রেন ইনিশিয়েটিভকে’ বিপন্ন করে তুলবে এমন যে কোনো উদ্যোগ থেকে সব পক্ষকে বিরত থাকা জরুরি।