বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

এক নারীতে ভাঙল বন্ধুত্ব, শেষ পরিণতি ‘খুন’

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১২ বার পঠিত

কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক বন্ধুর। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে আরেক বন্ধুর সঙ্গে প্রেমে জড়ান ওই কিশোরী। কিন্তু মাঝেমধ্যে মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টা করতেন সাবেক প্রেমিক। তা নিয়ে বর্তমান প্রেমিকের কাছে নালিশ করেন কিশোরী। এর জেরে দুই বন্ধুর মধ্যে শুরু হয় বিরোধ। সেই বিরোধের জেরে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করেন অন্য বন্ধু।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় রাকিবুল ইসলাম রিকাত হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য। বুধবার ভোরে আনোয়ারা উপজেলার মোহছেন আউলিয়া মাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- নগরের চান্দগাঁও থানার ফুরিক্যার দোকান এলাকার সফি হাজীর ভবনের মো. সফির ছেলে মো. গোলাম কাদের হৃদয় ও আনোয়ারা উপজেলার গহিরা নুর নবী চেয়ারম্যান বাড়ির মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. সাকিব।

পুলিশ জানায়, এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাকিবের। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে নতুন করে রিকাতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই কিশোরী। বিচ্ছেদ হলেও সাবেক প্রেমিকাকে মাঝেমধ্যে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠাতেন সাকিব। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বিষয়টি বর্তমান প্রেমিককে জানান কিশোরী। ফলে দুই বন্ধুর সম্পর্কে ফাটল ধরে। ধীরে ধীরে তা বড় আকার ধারণ করলে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দেন রিকাত।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার বিকেলে কৌশলে রিকাতকে বাকলিয়া থানার বলিরহাট ঘাটকুল এলাকায় ডেকে নেন সাকিব। সেখানে ছিলেন তাদের আরো চার বন্ধু গোলাম কাদের হৃদয়, আরমান, আরজু ও সানিফ। যাওয়ার পর সাকিবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় রিকাতের। একপর্যায়ে রিকাতকে ছুরিকাঘাত করেন সাকিব। অন্যরাও সাকিবের পক্ষ নিয়ে রিকাতকে মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় চান্দগাঁও থানার খাজা রোডের মুখে ফেলে যান। সেখান থেকে রিকাতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাকলিয়া থানার ওসি আবদুর রহিম বলেন, প্রেমের দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন রিকাত। এ ঘটনায় তার বাবার করা মামলায় বুধবার ভোরে আনোয়ারা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে চন্দনাইশ থেকে খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো বলেন, রিকাতসহ তারা সবাই মূলত টিকটকার ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গ্রেফতার সাকিবের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মাদকের মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর বুধবার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিহত রিকাত কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান এলাকার মো. শরীফের ছেলে। বর্তমানে চান্দগাঁও থানার খাজা রোডের কমিশনার গলিতে ভাড়া বাসায় থাকে তার পরিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com