বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে সোমবার (২১ নভেম্বর) মুখোমুখি হবে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল এবং ইউরোপের জায়ান্ট নেদারল্যান্ডস। বড় তারকা সাদিও মানেকে হারিয়ে বিপাকে লায়স অব তেরেঙ্গারা। অন্যদিকে এক আসর পর বিশ্বমঞ্চে আসা ডাচরা হারিয়েছে ফর্মে থাকা মেমপিস ডিপাইকে। তবে সব ভুলে জয়ের প্রত্যাশা দুই দলের।
ফুটবল উৎসবে বুঁদ হয়েছে গোটা বিশ্ব। দ্বিতীয় দিনে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মাঠে নামছে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল এবং এক আসর পর বিশ্বকাপে ফেরা নেদারল্যান্ডস। মাঠে নামার আগে দুদলের অবস্থা বিপরীতমুখী।
প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস থেকে ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৮তম স্থানে অবস্থান সেনেগালের। তবে দলটার জন্য বড় চিন্তার বিষয় সুপার স্টার সাদিও মানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়া। বড় এই তারকাকে ছাড়াই নতুনভাবে পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে কোচ আলিউ সিসেকে।
তবে পরিসংখ্যান আশা দেখাচ্ছে লায়স অব টেরেঙ্গাকে। ইতিহাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হার নেই তাদের। এর আগে দুবার বিশ্বমঞ্চে অংশগ্রহণ ছিল তাদের। ২০০২ সালে ফ্রান্স এবং ২০১৮ সালে তারা হারিয়েছে পোল্যান্ডকে। সাদিও মানে না থাকলেও মেন্ডি, গুইয়ে, দিয়া, কুলিবালি, সার, দিয়াট্টারা প্রস্তুত নেদারল্যান্ডসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।
নেদারল্যান্ডস দলটা গেল আসরে আপসেটের শিকার হয়ে বাদ পড়েছিল বিশ্বমঞ্চ থেকে। তবে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ডাচরা। দলটা আছে দুর্দান্ত ফর্মে। ২০২০ সালের পর আর কোনো ম্যাচে হারেনি তারা।
স্বাভাবিকভাবে সেনেগাল থেকে এগিয়ে লুই ভেন গালের দল। তাদেরও মাঠে নামতে হচ্ছে অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ড মেমপিস ডিপাইকে ছাড়া। যিনি কিনা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গোল করেছেন ১২টি। ইনজুরি ছিটকে দিয়েছে তাকেও। তবে টিমবার, ভ্যান ডাইক, ডি ইয়ং, ক্লানেস, বারজউইকদের নিয়ে দুর্দান্ত দল ডাচদের।
বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ছিল না। যে দুবার বিশ্বকাপ খেলেছে সেনেগাল, সেই দুবারই বাদ পড়েছিল ডাচরা। ১২তম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলেতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। এবার সেই আশায় বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে তারা।