চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের স্থানীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ ভোটের মাধ্যমে চীনের যুদ্ধভাব বাড়ানোর বিপরীতে গণতন্ত্র রক্ষায় দ্বীপটির দৃঢ়তার কথা বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছে তাইওয়ান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ করোনা ও অপরাধ ইস্যুর ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় নির্বাচনে মেয়র, বিভাগীয় প্রধান ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের নির্বাচন হচ্ছে। তবে যারা নির্বাচিত হবেন তারা সরাসরি চীনের নীতিতে বিশ্বাসী নয়।
এদিকে, এ নির্বাচনকে স্থানীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি কিছু মনে করছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান কীভাবে তাদের গণতন্ত্র রক্ষা করছে তা বিশ্ববাসী দেখছে।
সাই শুক্রবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাইওয়ান বাইর থেকে শক্তিশালী চাপ মোকাবিলা করছে। চীনের কর্তৃত্ববাদ প্রতিদিন তাইওয়ানের জনগণের স্বাধীনতার ওপর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আচমকা তাইওয়ান সফর করেন। এ সফর ঘিরে তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।
২০১৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনে তাইওয়ানের প্রধান বিরোধীদল কুমিনটেং বা কেএমটির ভরাডুবি হয়েছিল। দলটি সাই ও তার ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেস পার্টি চীনের সঙ্গে অতিরিক্ত মুখোমুখিতে জড়ানোর অভিযোগ করছে। কেএমটি ঐতিহ্যগতভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পছন্দ করলেও বেইজিং নীতিকে গ্রহণ নারাজ।
তাইওয়ানে এ নির্বাচন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম সম্মেলনের এক মাস পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সম্মেলনে তৃতীয়বারে মতো চীনের ক্ষমতায় বসেছেন শি জিনপিং।
যদিও তাইওয়ানের এ নির্বাচনের ফলাফল দুটি দলের জনপ্রিয়তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তবে এটি পরবর্তী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের শুভসূচনা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।