ফুটবলীয় উত্তাপ যখন চরমে, তখনই আলোচনায় কাতার বিশ্বকাপের প্রবাসী শ্রমিকরা। বিশ্বকাপ চলাকালীন ফিলিপাইনের এক শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে, ফিফা সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করাটা এক প্রকার চ্যালেঞ্জই ছিল কাতারের জন্য। মাঠের আয়োজনে সে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে তারা। তবে এখনও দেশটির পিছু ছাড়েনি মাঠের বাইরের সমালোচনা।
সে সমালোচনার অন্যতম কারণ প্রবাসী শ্রমিকরা। ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের দাবি, বিশ্বকাপ আয়োজনে, মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার প্রবাসী শ্রমিকের। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজকরা অবশ্য বরাবরই অস্বীকার করেছে এমন অভিযোগ। তবে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু আলোচনা ফের সামনে এসেছে নতুন এক কারণে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিপাইনের এক শ্রমিক। সৌদি জাতীয় ফুটবল দলের রিসোর্টে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বকাপ আয়োজকরা এমন ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
কাতার বিশ্বকাপের সিইও নাসের আল খাতের বলেন, ‘মৃত্যু জীবনের অংশ। এটা কর্মক্ষেত্রে হতে পারে, ঘুমের মধ্যেও হতে পারে। অবশ্যই নিহতের পরিবারের জন্য আমরা মর্মাহত। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে কাজের সময় সেফটি প্রটোকল মানা হয়নি, তাহলে প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা করা হবে।’
এদিকে, কাতার বিশ্বকাপে মারা যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে মানবাধিকার সংস্থা আভাজ ক্যাম্পেইনো। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত ফিফা সভাপতির বাড়ির সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করছে তারা।
এ সময় তারা জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মুখোশ ও হাতে বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা নিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরে। ফিফা সভাপতির পরিবারও যে প্রবাসী ছিল, তা-ও মনে করিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।