বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘উঁচাই’ সিনেমা বক্স অফিসে ভালোই সাড়া পেয়েছে। ফলে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন তিনি। এর আগে ‘কোড নেম: তিরাঙ্গা’ সিনেমায়ও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। দুটি ছবিতেই তাকে স্লিম-ফিট অবয়বে দেখা গেছে। গত কয়েক মাসের কসরতে তিনি এটা সম্ভব করেছেন।
‘উঁচাই’র সাফল্যের সুবাদে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন পরিণীতি। সেখানে তিনি বডি শেমিং এবং নিজের ফিটনেস নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যখন কোনো অভিনয়শিল্পীকে ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তারা বলে দেন যেমন আছেন, তেমনই ভালো। এবং শারীরিক পরিবর্তন আনা উচিত নয় বলেও মনে করেন তারা। তবে আমার মত ভিন্ন। আমি সবসময়ই বলি, যদি আপনি জীবনে পরিবর্তন চান, শারীরিকভাবে ফিট হতে চান, স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান, শক্তি বাড়াতে চান এবং কেউ যদি আপনাকে অনুপ্রেরণা দেয়, তাহলে দয়া করে সেটাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন। অকারণেই বডি শেমিং নেতিবাচকভাবে করা হয়। এটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
পরিণীতি নিজেও দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ছিলেন। সে কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেছেন, আমি সবসময়ই শরীরে একটা পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম। কারণ অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেকগুলো বছর কেটেছে আমার। আনফিট হয়ে অনেকদিন কেটেছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার মতো স্ট্যামিনাও আমার ছিলো না। যখন আমাকে বলা হতো, ‘তোমাকে ফিট হতে হবে’, আমি এই কথাটিকে উৎসাহ হিসেবে গ্রহণ করেছি কারণ আমি নিজেও এই পরিবর্তনটা চেয়েছিলাম।
ফিট হওয়ার সুবাদে এখন স্বাচ্ছন্দ্যেই কাজ করতে পারছেন বলে জানান পরিণীতি। তার ভাষ্য, এটা দারুণ ছিলো যে, আমি একজন অভিনেতা; আমি প্রতিদিনই নিজের ছবি দেখেছি। এটা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে প্রতিনিয়ত উন্নতি করার। এখন আমি দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারি কোনো সমস্যা ছাড়াই। ব্যক্তিগতভাবে এটার (ফিটনেস) ব্যতিক্রম প্রভাব রয়েছে আমার জীবনে। অধিকাংশ মানুষ এটাকে নেতিবাচক হিসেবে নেন। আমি এটাকে আমার শক্তিতে পরিণত করেছি এবং আমি খুব খুশি যে সেই পরিবর্তনটা করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে পরিণীতি তার নতুন সিনেমার খবরও দিয়েছেন। ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় একটি ছবিতে তিনি কাজ করছেন। তবে সেটা সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে বারণ।